আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সত্যের সন্ধানে নির্ভীক সাপ্তাহিক সাহসী সময় হাটি হাটি পা-পা করে আজ ২৬ বছরে পদার্পন করল। সাহসিকতা, সত্যনিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুসাংবাদিকতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় নিয়ে সাহসী সময় ১৯৯৮ সালের ১৬ই ডিসেম্বর প্রথম প্রকাশের দিন থেকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে পথচলা শুরু করে। আজ তার ২৫তম জন্ম বার্ষিকী। গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে মফস্বল জেলা রাজবাড়ী থেকে নিয়মিতভাবে পত্রিকা প্রকাশনার একমাত্র দৃষ্টান্ত রয়েছে সাহসী সময়ের। এই রাজবাড়ী থেকে সময় সুযোগ বুঝে ও ভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি ইতিপূর্বে যারা অনিয়মিতভাবে পত্রিকা প্রকাশ করতো তাদের অনেকই পাততাড়ি গুছিয়েছে। আবার নতুন অনেকেই সাংবাদিকতা না করেই ভিন্ন পেশা ও ব্যবসার পাশাপাশি পত্রিকা প্রকাশনায় যুক্ত হয়েছে।

সাপ্তাহিক সাহসী সময়ের নিয়মিত প্রকাশনা সত্বেও প্রায় আড়াই বছর অপেক্ষা করতে হয়ে সরকারী মিডিয়া তালিকাভুক্তি লাভ করতে। সরকারী আনুকুল্য ছাড়া শুধুমাত্র পাঠকদের প্রতি ভর করে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে আসছে। প্রকাশনার অনুমতি লাভের পূর্বে ১৯৯৮ সালের ২রা নভেম্বর থেকে সাহসী সময়কে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এ পত্রিকার সম্পাদককে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও অপদস্থ করার অপচেষ্টাও চলে। স্বাধীনতা বিরোধী কতিপয় অপসাংবাদিকরা আতুর ঘরেই সাহসী সময়কে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ সকল অপসাংবাদিকদের শকুনী অভিশাপ ও লাগাতার মিথ্যা দরখাস্তে মুখ থুবরে পড়তে হয় নাই কখনো।

প্রকাশনার শুরু থেকে যে অদম্য সাহস নিয়ে সাহসী সময়ের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা অব্যাহত আছে। ডিজিটাল দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে সাহসী সময় অনলাইন সংস্করণ, ই-পেপার ও স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে দেশের সীমানা পেরিয়ে প্রবাসীদের জন্য সমাদৃত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের অফুরন্ত ভালবাসা সাহসী সময়ের দীর্ঘ পথের যাত্রা বেগবান হয়েছে। দীর্ঘ ২৫ বছর পেরিয়ে আজ মহান বিজয় দিবসে ২৬তম বর্ষে পদার্পনে সাহসী সময়ের সাথে থাকায় সকল পাঠক, লেখক, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ী এবং সহকর্মীদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।